২০১৭ সালের সবচাইতে সেরা এবং শক্তিশালী ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল
আপনি কি এ বছর আপনার জন্য নতুন ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল কেনার কথা ভাবছেন ? বাজারে এতো সব ব্র্যান্ড এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের ভিড়ে কোন মোটরসাইকেলটি হতে পারে আপনার পথ চলার নিত্যসঙ্গী তা নিয়ে চিন্তিত ?
চিন্তার কোন কারণ নেই আজ আমরা বর্তমান সময়ে সবচাইতে বেশি প্রচলিত এবং ২০১৭ সালের সবচাইতে সেরা এবং শক্তিশালী ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল গুলো নিয়ে আলোচনা করবো । আমাদের আজকের এই আলোচনায় আমরা মাইলেজ , বাজেট , ট্রান্সমিশন সিস্টেম এবং অন্যান্য সকল দিক এর কথা বিবেচনা করে একটি শর্ট-লিস্ট সাজিয়েছি ।
আশা করি নিজের জন্য সবচাইতে সেরা বাইকটি পছন্দ করতে আমাদের আজকের আলোচনা আপনাদের উপকারে আসবে । চলুন তবে দেখে নেই এ বছরের [২০১৭ ] সেরা ১৫০ সিসি ইঞ্জিন ক্ষমতা সম্পন্ন সকল মোটরসাইকেল গুলোর বিস্তারিত তথ্য-
একটি কথা না বললেই নয় , আপনি যদি এবার প্রথম নিজের জন্য মোটরসাইকেল কেনার কথা ভেবে থাকেন তবে আপনাকে অবশ্যই অনেক কিছু দেখে শুনে এবং বুঝে কিনতে হবে ।
হোক নিজের টাকা দিয়ে কিংবা পরিবারের টাকা দিয়ে কেনা , ভালো কিছু ক্রয় করতে পারলে সকল দিক থেকেই নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন আর না হলে সকল কিছুই নষ্ট হবে এবং শুধু শুধু অনেকগুলো টাকা আপনার বিফলে যাবে ।
আর তাই সবকিছু দেখে শুনে এবং বুঝে প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ নিয়ে নিজের জন্য একটি বাইক কিনুন আশা করি আপনার বাইক কেনা সার্থক হবে-
ভালো মাইলেজ এর ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল [ Best Mileage 150 cc Bikes ]
১। বাজাজ পালসার ১৫০ [ Bajaj Pulsar 150 DTS-I ]
বাজাজ একটি ইন্ডিয়ান মোটরসাইকেল কোম্পানি এবং অনেক সুনামধন্য মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান । ২০০১ সালের শেষের দিকে নভেম্বর মাসে প্রথম বাজাজ পালসার ১৫০ সিসি ডিটিএসআই বাজারজাত করা হয় ইন্ডিয়ার বাজারে । বাংলাদেশে তার কিছুদিন পরেই মোটরসাইকেলটি এভেইলেবল হয় এবং বিক্রয়ের উদ্যেশে বাজারজাত করা হয় ।
ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের বাজারে আকর্ষণীয় পারফর্মেন্স এর মোটরসাইকেলটি এখন পর্যন্ত অনেক মানুষের প্রিয় একটি পথ চলার সঙ্গী । প্রথম অবস্থায় মোটরসাইকেলটির প্রতিযোগী হিসেবে Honda CBZ 150 cc মোটরসাইকেলটি বাজারে ছিলো ।
আকর্ষণীয় হেডলাইট , এয়ারক্রাফট টাইপ ফুয়েল , ফুল অ্যানালগ কনসোল , সাইড স্ট্যান্ড ইন্ডিকেটর , ইত্যাদি সকল আকর্ষণীয় ফিচারের মাধ্যমে পালসার মোটরসাইকেল টি মন জয় করে নিতে পেরেছে সকল ক্রেতার । এর বর্তমানের ভার্সনের মাঝে রয়েছে ডিজিটাল কনসোল , এনালগ ট্যাকমিটার এবং আকর্ষণীয় সব কালার এবং শেড ।
১৪৯ সিসি ইঞ্জিন ইউনিট আপনাকে দিবে 15BHP / 12 NM Torque পাওয়ার । রয়েছে ৫ স্পীড গিয়ারবক্স এবং চেইন ড্রাইভ । বাজারে পালসার ১৫০ সিসি এর বর্তমানে রয়েছে অনেক প্রতিযোগী যেমন Honda CB Unicorn, Hero Xtreme, Hero Hunk, Suzuki GS150R , Yamaha SZ-RR ।
বাজাজ পালসার ১৫০ সিসি এর স্পেসিফিকেশন এবং ফিচারসমুহ [Bajaj Pulsar 150 DTS-i Specifications & Features]
তবে এটি ঠিক যে ,বাজাজ পালসার ১৩৫,পালসার ১৫০ রিভিউ,বাজাজ পালসার ১৫০ এ এস,পালসার ১৫০ এনএস।পালসার মোটরসাইকেল,পালসার ১৫০ সিসি দাম,বাজাজ ডিসকভার ১২৫ ও ২০১৭ সালে দাপটের সাথে বাংলাদেশের রাস্তায় চলেছে ।
বাজাজ পালসার ১৫০ ইউজি ৪.৫ ২০১৭ মডেল বাজারে এনেছে– নতুন বাজাজ পালসারের দাম ১,৭৭,৫০০ টাকা
চলুন, এক নজরে দেখে নেই কি কি ফিচার আপগ্রেড করা হয়েছে এবং পরিবর্তন করা হয়েছে বাজাজ এর নতুন এই মোটরসাইকেল বাজাজ পালসার ১৫০ সিসি ২০১৭ এডিশন এর মাঝেঃ
নতুন বাজাজ পালসার ১৫০ সিসি ২০১৭ এডিশন এ নুতুন কি ফিচার আপগ্রেড
বাংলাদেশে মোটরসাইকেল এর দাম ২০১৭ – Product Review BD
বাজাজ ভি১৫০, বাজাজ মোটর সাইকেল, এর নতুন মটর বাইক/ –
২। ইয়ামাহা এফজেড ভার্সন ২.০ Yamaha FZ V 2.0
FZ V 2 এর ডিজাইন রাখা হয়েছে সম্পূর্ণ আকর্ষণীয় স্পোর্টি লুক এর এবং এর মাঝে থাকা এয়ার কোল্ড ১৪৯ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন ক্লোজ লুপ ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম এ অনেক সাহায্য করে থাকে ।
সবচাইতে ভালো মানের ফুয়েল ইফিয়েন্সি দেবার জন্য বাইকটির মাঝে যথেষ্ট ফুয়েল ইফিসিয়েন্ট ফিচার রাখা হয়েছে । এর ইঞ্জিন 13.1BHP ক্ষমতা উৎপন্ন করতে পারে এবং সাথে 12.8 NM টর্ক ।
এর মাঝে রয়েছে নতুন ইয়ামাহা ব্লূ কোর টেকনোলজির ইঞ্জিন যা প্রায় ১৪% পর্যন্ত ফুয়েল ইফিসিয়েন্ট ।
ইয়ামাহা এফজেড এর মাঝে এছাড়াও রয়েছে মাল্টি ফাংশন ইন্সট্রুমেন্ট প্যানেল এবং ইকো ইন্ডিকেটর । এর ওজন ১৩২ কেজি এবং এর চ্যাসিস অন্যান্য সকল বাইকের তুলনায় অনেক লাইটওয়েট ।
এফজেড এর নতুন ভার্সন এর মাঝে রয়েছে দুটি নতুন কালার একটি প্যানথার ব্ল্যাক এবং অন্যটি স্কোরসিং রেড । এর প্রতিযোগী হিসেবে বাজারে রয়েছে – Bajaj AS150, Honda CB HorneT 160R , Suzuki Gixxer .
Yamaha FZ V 2.0 Specifications & Features ইয়ামাহা এফজেড ভার্সন ২.০ এর স্পেসিফিকেশন এবং ফিচারসমুহ
ইয়ামাহা মোটরসাইকেল know more:
৩। বাজাজ ভি-১৫ Bajaj V-15
V15 বাজাজ এর নতুন ভি সিরিজের মাঝে সর্বপ্রথম মোটরসাইকেল । এর দাম ডিস্কোভার এবং পালসারের মাঝামাঝি পর্যায়ে রাখা হয়েছে । এর স্টাইলিশ লুক এর কারনে বাংলাদেশে আসার পর থেকে এ পর্যন্ত এটি অনেক বিক্রি হতে দেখা গেছে ।
এর ডিজাইন সম্পূর্ণ ক্লাসিক রেট্রো ফিল দিতে সক্ষম । এর ডিজাইন যদিও অনেকটা এভেঞ্জার এর মতো ।
বাজাজ ভি ১৫ এর মাঝে রয়েছে ১৫০ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন , যা সম্পূর্ণ এভেঞ্জার এর ডিটিএস আই ইঞ্জিনের সমান পারফর্মেন্স দিতে সক্ষম । এর ইঞ্জিন আপনাকে 12BHP @7500 rpm ক্ষমতা প্রদান করতে পারবে এবং পিক টর্ক 13NM@5500 RPM ।
এর ফ্রন্ট সাইড হুইল ১৮ ইঞ্চি এবং সাথে রয়েছে ৩৩ মিমি টেলিস্কপিক ফ্রন্ট ফর্ক । এর রিয়ার সাইড হুইল ১৬ ইঞ্চি এবং রয়েছে ডুয়েল স্প্রিং । ফ্রন্ট ব্রেক হিসেবে আছে ২৪০ মিমি ডিস্ক ব্রেক এবং রিয়ার ব্রেক ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক ।
মোটরসাইকেলটির ওজন ১৩৫.৫ কেজি । বাজাজ এর নতুন এর ভি ১৫ এর মাঝে রয়েছে আকর্ষণীয় দুইটি কালার ভেরিয়েন্ট , একটি পার্ল হোয়াইট অন্যটি এবোনি ব্ল্যাক ।
BAJAJ V 150, বাজাজ ভি 150 অবশেষে এসে গেল – Product Review BD
Bajaj V15 Specifications & Features বাজাজ ভি-১৫ এর স্পেসিফিকেশন এবং ফিচারসমুহঃ
৪। বাজাজ এভেঞ্জার ১৫০ স্ট্রিট Bajaj Avenger 150 Street
এভেঞ্জার ১৫০ স্ট্রিট বাজাজ এর জন্য সবচাইতে সফল মোটরসাইকেল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে । অন্যান্য সকল ক্রুইজার মোটরসাইকেল থেকে বাজাজ এর এভেঞ্জার ক্রুইজার এর বিক্রয় সাফল্য অনেক বেশি বলে জানা যায় ।
এভেঞ্জার এর এভেঞ্জার ১৫০ স্ট্রিট এর মডেল এবং ডিজাইন এটিকে সত্যি এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছে ।
এছাড়াও এর মাঝে রয়েছে আকর্ষণীয় সকল ফিচার । নতুন এলয় হুইল , ব্ল্যাক রাবার ফ্রন্ট ফর্কের মাঝে , নতুন গ্র্যাব রেইল , সাইলেন্সার সব মিলিয়ে বাইকটিকে করে তুলেছে আকর্ষণীয় ।
লো এবং ফ্ল্যাট স্টাইল হ্যান্ডেলবার দেবার কারনে বাইকটির হ্যান্ডেলিং ক্ষমতা হয়েছে অনেক সহজ , যা অনেক চালকের মুখেই শোনা যায় ।
এভেঞ্জার স্ট্রিট এর মাঝে রয়েছে Tubular Double Cradle Frame । এর ইঞ্জিন রাখা হয়েছে পালসারের মতোই ১৫০ সিসি DTS-I ইঞ্জিন । এটি 14BHP @ 9000 RPM ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম এবং পিক টর্ক 12.5 Nm @ 6500 RPm । এর মাঝে রয়েছে ফাইভ স্পীড গিয়ারবক্স এবং চেইন ড্রাইভ ।
এর ফুয়েল ট্যাঙ্কের মাঝে প্রায় ১৪ লিটার ফুয়েল ধারন ক্ষমতা রয়েছে এবং রিজার্ভ এর ধারণক্ষমতা ৩.৪ লিটার । বাইকটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৬৯ মিমি এবং সামনের চাকায় রয়েছে ২৪০ মিমি ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক । এর কালার আছে মাত্র একটি , বাজারে এটি শুধু মিডনাইট ব্লু কালারে পাওয়া যায় ।
Bajaj Avenger 150 Street Specifications & Features বাজাজ এভেঞ্জার স্ট্রিট ১৫০ সিসি স্পেসিফিকেশন এবং ফিচার সমুহঃ
৫। হোন্ডা সিবি শাইন Honda CB Shine
CB Shine একটি ১২৫ সিসি কমিউটার মোটরসাইকেল যা হোন্ডা মটোকর্প কর্তৃক ডেভলপ করা এবং বাজারজাতকৃত। এর প্রধান কাস্টমার টার্গেট করা হয়েছে যারা ডিজাইন থেকে বেশি ফুয়েল ইফিয়েন্সি এবং ভালো পারফর্মেন্স এর আশা করে মোটরসাইকেল ক্রয় করে তাঁদের জন্য ।
সিবি শাইন এর ফুয়েল ট্যাংকের মাঝে যদিও রয়েছে আকর্ষণীয় বডি পেইন্টস । এর সম্পূর্ণ থ্রিডি ডাইমেনশন ফুয়েল ট্যাংক এই মোটরসাইকেলটিকে সাধারণের মাঝে করেছে অন্যন্য । এর ফ্রেম হিসেবে রয়েছে এডভান্স লাইটওয়েট ডায়ামন্ড কাট ফ্রেম ।
ইঞ্জিন হিসেবে দেয়া হয়েছে ১২৪ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কোল্ড হোন্ডা ইকো টেকনোলজি ইঞ্জিন । ইঞ্জিন ক্ষমতা ১০.১২ BHP @ 7500 RPM এবং পিক টর্ক ১০.৫৪ NM @ 5500 RPM । এর মাঝে রয়েছে ম্যাটেড ৪ স্পীড গিয়ারবক্স । এর ফ্রন্ট এবং রিয়ার উভয় পাশেই রয়েছে হাইড্রোলিক সাস্পেনশন এবং ফ্রন্ট ব্রেক ২৪০ মিমি ডিস্ক ব্রেক এবং রিয়ার ১৩০ মিমি ড্রাম ব্রেক ।
এর ওজন ১২০ কেজি যা একটি ১২৫ সিসি বাইকের জন্য সত্যি অসাধারণ এবং সবচাইতে পারফেক্ট ।
Honda CB Shine Specifications & Features হোন্ডা সিবি শাইন এর স্পেসিফিকেশন এবং ফিচারসমুহঃ
৬। ইয়ামাহা ওয়াইজেডএফ আর-১৫ Yamaha YZF R-15
ইয়ামাহা বাইক আর ১৫ ২০০৮ সাল থেকেই একটি প্রিমিয়াম কোয়ালিটির স্পোর্ট ফিচার সম্পন্ন বাইক হিসেবে আন্তর্জাতিক ভাবে বিক্রয় হয়ে আসছে । এর মাঝে রয়েছে ডেল্টা বক্স ফ্রেম । এটি সকল স্পোর্ট বাইক প্রেমীদের উদ্যেশে তৈরি করা হয়েছে এবং বাজারজাত হবার পর থেকে এটি অনেক অনেক স্পোর্ট বাইক প্রেমীর মন জয় করে নিতে সক্ষম হয়েছে ।
২০১১ এর দিকে প্রথম ইয়ামাহা আকর্ষণীয় এই মোটরসাইকেলটি Yamaha R 15 V.2 নামে প্রকাশ করে ।
এর মাঝে থাকা সিঙ্গেল সিলিন্ডার ১৫০ সিসি ইঞ্জিন ইউনিট 17BHP / 15 NM Torque উৎপন্ন করতে সক্ষম । এর মাঝে রয়েছে সিক্স স্পীড গিয়ারবক্স ট্রান্সমিশন সিস্টেম এবং চেইন ড্রাইভ ।
এর রিয়ার সাইডে রয়েছে ডিস্ক ব্রেক যা এই সেগমেন্টের বাইকের মাঝে সর্বপ্রথম এর মাঝেই দেয়া হয়েছিলো । ফ্রন্ট ইউনিট এর মাঝে রয়েছে ডুয়েল পিস্টন এবং ২৬৭ মিমি ডিস্ক ব্রেক এবং রিয়ার প্যানেল এর মাঝে রয়েছে ২২০ মিমি ডিস্ক ব্রেক এবং ডুয়েল পিস্টন । স্ট্যান্ডার্ড ফিচার হিসেবে রয়েছে পাইলট ল্যাম্প ।
এর প্রতিযোগী হিসেবে বাজারে রয়েছে CBR 150R , Hero ZMR , KTM DUKE 200 এবং অন্যান্য সকল ১৫০ সিসি প্রিমিয়াম স্পোর্ট কোয়ালিটি মোটরসাইকেল ।
Yamaha YZF R15 Specifications & Features
বর্তমান সময়ে প্রচলিত মোটরসাইকেল এর মাঝে থেকে বাছাই করে আপনাদের সামনে ৬ টি বাইকের সম্পূর্ণ তথ্য ভালোভাবে তুলে ধরার প্রয়াস করেছি , আশা করি আপনাদের পথ চলার সঙ্গী হিসেবে যেকোন একটি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল বেছে নিতে আর কোন সমস্যা হবার কথা নয় ।
তারপরেও যেকোন অভিজ্ঞ ব্যাক্তির সাথে পরামর্শ পূর্বক বাইক কিনুন এবং অবশ্যই নিরাপদে মোটরসাইকেল পরিচালনা করুন এবং ট্র্যাফিক আইন মেনে চলুন .

Join the discussion