মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স বা ইনস্যুরেন্স এর কাগজ হারিয়ে গেলে কি করবেন?
মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স বা ইনস্যুরেন্স এর কাগজ হারিয়ে গেলে কি করবেন?
যেকোনভাবেই হোক আমরা অনেক সময় মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স বা ইনস্যুরেন্স এর কাগজ পত্র হারিয়ে ফেলি । মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অন্যান্য কাগজপত্র ঠিক তেমনি গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস মোটরসাইকেল চালকদের জন্য ।
আপনি যদি আপনার মোটরসাইকেল এর কাগজপত্র হারিয়ে ফেলেন তবে বিব্রত হবার কিছুর নেই । কিছু পন্থা অবলম্বন করলেই আপনি সকল কাগজ পুনরায় জোগার করে নিতে পারবেন ।
চলুন তবে জেনে নেই কি করে মোটরসাইকেল এর কোন কাগজপত্র হারিয়ে গেলে কি করতে হয় ।
মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি-২০১৭
আলোচনার বিষয়ঃ
- মোটরসাইকেল এর ইনস্যুরেন্স এর কাগজ হারিয়ে গেলে কি করতে হবে
- মোটরসাইকেল এর লাইসেন্স হারিয়ে গেলে কি করতে হবে
মোটরসাইকেল এর ইনস্যুরেন্স এর কাগজ হারিয়ে গেলে কি করতে হবেঃ
ইনস্যুরেন্স এর কাগজ যদি আপনি হারিয়ে ফেলেন তবে চিন্তার কিছু নেই । তারপরেও হারিয়ে যাবার সাথে সাথেই আপনার উচিৎ নিকটস্থ থানায় গিয়ে একটি জিডি করা ।
তারপর সরাসরি আপনার ইনস্যুরেন্স অফিসে গিয়ে থানার জিডি কপি জমা দিয়ে নতুন ইনস্যুরেন্স এর ডুপ্লিকেট কপি আবেদন করলেই আপনি স্বল্প খরচের ভেতর এটি পেয়ে যাবেন ।
মোটরসাইকেল এর লাইসেন্স হারিয়ে গেলে কি করতে হবে
মোটরসাইকেল চালনার ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল এই রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট যা হারিয়ে গেলে আপনি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন ।
ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে/চুরি হলে/পুড়ে গেলে/নষ্ট হলে প্রথমে ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর এবং রেফারেন্স নম্বর ও তারিখ (যদি থাকে) উল্লেখ করে থানায় একটি জিডি করতে হবে।
তারপর বিআরটিএ এর অফিসে গিয়ে আপনাকে জিডির কপি জমা দিতে হবে এবং নতুন কপির জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম আবেদন করতে হবে ।
ছবিসূত্র : ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। যথাযথভাবে পুরনকৃত ০৪ পৃষ্ঠার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম (ফর্মের জন্য এখানে ক্লিক করুন)।
২। জিডি কপি ও ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স।
৩। নির্ধারিত ফী (হাই সিকিউরিউটি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে ৮৭৫/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
৪। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন ফরম
- ব্যাংকের শাখা ও বুথের তালিকা নির্ধারিত ব্যাংকে (ব্যাংক এর তালিকাbrta.gov.bd –তে পাওয়া যাবে)
একটি কথা মনে রাখবেন,
আপনি বিআরটিএ এর যেই অফিস থেকে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিলেন নতুন কপি পাবার জন্য আপনাকে সেই অফিসেই পুনরায় আবেদন করতে হবে অন্যথায় আপনি পাবেন না । আপনার থানা বা এলাকাটি যদি মিরপুরে হয় তাহলে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম হবে মোহাম্মদপুরে। এভাবে প্রত্যেকটি এলাকার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমটি একেক স্থানে হয়ে থাকে।
তাই বিআরটিএ থেকেই জেনে নিতে হবে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমটি কোথায়। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে গিয়ে জিডির কপির সঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি জমা দিতে হবে। ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স নেয়ার পর বিআরটি’র ব্যাংক শাখায় জিডির কপি ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপিসহ ৬৩৩ টাকা জমা দিতে হবে।
আপনাকে নতুন কপির জন্য নির্ধারিত ফি ব্যাংক মানি ডিপোজিট ফর্মের মাধ্যমে জমা দিতে হবে নির্দিস্ট ব্যাংকের শাখায় ।
বিআরটিএ থেকে নতুন রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট পেতে যেসকল ফর্ম এবং কাজ আপনাকে করতে হবেঃ
- ডুপ্লিকেট রেজিস্ট্রেশন ফর্ম সংগ্রহ এবং পূরণ করা
- মালিকানা ফর্ম পূরণ
- ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- টাকা জমা দেয়ার জমা স্লিপ
- ট্র্যাফিক ক্লিয়ারেন্স কপি
টাকা জমা দেয়ার পর জমা ভাউচারের সঙ্গে ভোটার আইডি কার্ডের কপি, জিডির কপি, ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও ডিজিটাল ফর্ম (বিআরটি’র অফিস থেকে পাওয়া যায়) পূরণ করে বিআরটি’র লাইসেন্সিং কাউন্টারে জমা দিতে হবে।
কাউন্টারে সব কাগজপত্র রেখে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপিটি আপনাকে দিয়ে ফটো তোলার রুম থেকে ভেরিফাই করার জন্য বলবে। ফটো তোলার রুমে কাগজটি জমা দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।
কিছু সময় পর ওই রুমের এটেন্ডেন্ট আপনার নাম ধরে ডেকে ভেরিফাই করা ওই কাগজটি আপনার হাতে দিলে পুনরায় লাইসেন্সিং কাউন্টারে জমা দিতে হবে।
লাইসেন্সিং কাউন্টার থেকে আপনাকে অন্য কাগজপত্রের সঙ্গে একটি প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ দিবে। সেই প্রাপ্তি স্বীকার রসিদটি নিয়ে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর নিয়ে প্রাপ্তি স্বীকার রসিদটির একটি ফটোকপি করে ইস্যুয়িং অথোরিটি বা ওই ছবি তোলার রুমে পুনরায় জমা দিতে হবে। জমা দেয়ার পর ওই রুমের বাইরে অপেক্ষা করতে হবে।
আপনার নাম ধরে ডাকলেই আপনি রুমের ভেতরে গেলে কম্পিউটারে থাকা আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঙ্গে থাকা ছবির সঙ্গে আপনার চেহারা মেলাবার পর ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার নির্দিষ্ট একটি তারিখ সংবলিত একটি টোকেন দিবে এবং সেই সঙ্গে আপনার প্রাপ্তি স্বীকার রসিদসহ অন্য কাগজপত্র আপনাকে ফেরত দিয়ে দিবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্সটি যদি হাইসিকিউরিটি স্মার্ট কার্ড হয় তাহলে নতুন করে বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, আঙ্গুলের ছাপ, ডিজিটাল স্বাক্ষর)-এর প্রয়োজন নেই, অন্যথায় বায়োমেট্রিক্স প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ সার্কেল অফিসে হাজির হয়ে বায়োমেট্রিক্স প্রদান করে acknowledgement slip সংগ্রহ করতে হবে।
স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রন্টিং-এর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গ্রাহককে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।
কাগজপত্র গুলো সঠিক ভাবে পূরণ করে কর্তৃপক্ষের নিকট দেয়ার পর আপনার মোবাইল ফোনের মাঝে কবে পাবেন আপনার নতুন রেজিস্ট্রেশন কপি সেটা ম্যাসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে ।
ওই নির্দিষ্ট তারিখ থেকে ৭ দিনের মধ্যে বিআরটি-এর অফিস থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সটি সংগ্রহ করতে হবে, অন্যথায় ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে বিলম্ব হতে পারে। ড্রাইভিং লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত আপনি প্রাপ্তি স্বীকার রসিদটি সঙ্গে নিয়ে গাড়ি চালাতে পারবেন।
লাইসেন্স না পাওয়া পর্যন্ত ওই প্রাপ্তি স্বীকার রসিদটিই ড্রাইভিং লাইসেন্স হিসেবে কাজ করবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফী: –
(ক) পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফী – মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ১৫৬৫/- টাকা;
(খ) অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফী – মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২৪২৭/- টাকা;
(গ) পেশাদার ও অপেশাদার উভয় ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পার হলে প্রতি বছরের জন্য ২৩০/- টাকা হরে জরিমানা প্রদান করতে হবে।
আপনি যদি মোটবাইক চালানোর নিয়ম কানুন খুব ভালভাবে না জানেন তবে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া কষ্টকর।
মোটরসাইকেল দাম বাংলাদেশে মোটরসাইকেল এর দাম ২০১৭ – Product Review BD মোটরসাইকেল এর দাম ২০১৭
মোটরসাইকেল চালানো শেখা মোটরসাইকেল চালানোর কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ,নূতনদের জন্য
ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন ব্যাংক ও উত্তর
কীভাবে করবেন আপনার মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্স ?


আমার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে ৩ বছর আগে এবং সেটা হারিয়ে গেছে কোন ধরনের ফটোকপি তা-ও নাই আমার এমন অবস্থায় কি করা যায়।