সর্বাধিক জনপ্রিয় ১৫০সিসি সেগমেন্টের ৭টি মোটরসাইকেল

সর্বাধিক জনপ্রিয় ১৫০সিসি সেগমেন্টের ৭টি মোটরসাইকেল


কমিউটার ক্লাস সেগমেন্টের মোটরসাইকেলের পরে ১৫০সিসি সেগমেন্টের মোটরসাইকেলের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাইক গুলোর একটি। এবং এই সেগমেন্টের মধ্যে প্রিমিয়াম ১৫০সিসি  মোটরসাইকেলের ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি দেখা যায়।

সম্প্রতি সময়ে ১৫০সিসি বাইক সেগমেন্টে কিছুটা পরিবর্তন দেখা যায়, ১৫০সিসি থেকে ১৫৫সিসি এবং ১৬০সিসি এর মত বিভিন্ন বাইক এর নামও এই সেগমেন্টের লিস্টে দেখা যাচ্ছে।

এই শ্রেণীর বাইক গুলোর রয়েছে স্টাইলিশ লুক, যথাযোগ্য ফুয়েল পারফর্মেন্স এবং  ভালো পারফর্মেন্স, একই সাথে কলেজ যাওয়া যুবক এবং তরুন এক্সিকিউটিভদের কাছেও আকর্ষণীয়।

এখানে আমরা ১৫০ সিসি সেগমেন্টের কিছু টপ বাইক নিয়ে আলোচনা করব।

চলুন তাহলে শুরু করি।

১। সুজুকি জিক্সার (Suzuki Gixxer)

জাপানি নির্মাতাদের তৈরি সুজুকি জিক্সার (Suzuki Gixxer) বাইক প্রেমীদের কাছে একটি অন্যতম জনপ্রিয় মডেল। শার্প এবং স্বতন্ত্র ডিজাইন, ইমপ্রেসিভ পারফর্মেন্স এবং এর হ্যান্ডলিং এর কারনে বর্তমানে বিক্রিত ১৫০-১৬০সিসি সেগমেন্টের মোটরসাইকেল গুলির মধ্যে এটি অন্যতম।

সুজুকি জিক্সার-(Suzuki Gixxer)

জিক্সার এর স্টাইলিং গ্রাউন্ড ব্রেকিং নয়, কিন্তু এর মজবুত, ভাস্কর্যহীন  স্ট্রীট লুকে ভালোয় কাজ হয়েছে, বাইকটিকে একটি শক্তসমর্থ এবং সলিড চেহারা দিয়েছে।

এই শ্রেনির বাইকগুলোর মধ্যেই এটাতেই রয়েছে সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, সাথে খুব সহজেই গিয়ার পজিশোন ইনডিকেটর।

সুজুকি মোটরসাইকেল ,সুজুকি জিক্সার (Suzuki Gixxer) লিটার ক্লাস জিএসএক্স ১০০০আর (GSX1000R) এর কাছ থেকে তার ডাক নামটি পেয়েছে কিন্তু বাইকটিতে রয়েছে ১৫৫সিসি সিঙ্গিল সিলিন্ডার, এয়ার কুলড মটর যা ৮০০০ আরপিএম এ ১৪.৫বিএইচপি শক্তি এবং ৬০০০ আরপিএম এ ১৪এনএম সর্বোচ্চ টর্ক সরবরাহ করতে পারে।

বাইকটির ইঞ্জিন একটি রিফাইন্ড ইউনিট এবং নিজেকে মোটেও স্ট্রেইন করে না অথবা হাই স্পিডেও ভাইব্রেট করে না। এর টপ স্পিড সর্বোচ্চ ১১৫ কিলোমিটার পার আওয়ার হতে পারে।

বাইকটির রাইড কোয়ালিটি এবং হ্যান্ডলিং ও বেশ ইম্প্রেশিভ।

২। হোন্ডা সিবি হরনেট ১৬০আর (Honda CB Hornet 160R)

হোন্ডা মোটরসাইকেল এবং স্কুটার কোম্পানির ১৫০-১৬০সিসি বাইকগুলির মধ্যে সম্ভাবত হোন্ডা সিবি হরনেট ১৬আর (Honda CB Hornet 160R)ই বেষ্ট লুকিং প্রিমিয়াম বাইক। সামগ্রিকভাবে বাইকটি দেখতে শার্প এবং বিশেষ স্টাইলিং।

Honda-CB-Hornet160r

ফুয়েল ট্যাঙ্কের উপরের দিকে রয়েছে একটি কার্বন ফাইবার প্যাটার্ন কভারের সাথে all digital speedometer, একটি stubby exhaust, একটি futuristic X-shaped LED taillight এবং মোটা সোটা টায়ার গুলো হরনেট ১৬০আর কে একটি স্পোর্টই এবং প্রিমিয়াম লুক দিয়েছে।

ইঞ্জিনটি মূলত সিবি ইউনিকর্ন ১৬০ এর অনুরুপ ইউনিট, এতে একটি ১৬৩সিসি সিঙ্গিল সিলিন্ডার, এয়ার-কুলড ইঞ্জিন যা ৮৫০০আরপিএম এ ১৫.৭ বিএইচপি বিদ্যুৎ পাওয়ার এবং ১৪.৭৬ এনএম টর্ক সরবরাহ করার জন্য টিউন করা হয়েছে।

রাইড কোয়ালিটি চমৎকার এবং হ্যান্ডেলিংও বেশ ভালো কিন্তু হরনেট অনেক হালকা ওজনের, ১৪২ কিলোগ্রাম। বাইকটির টপ স্পিড প্রায় ১১২ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।

ব্রেকগুলি উচ্চমানের পেটাল ডিস্ক এবং এটাতে সামান্য প্রিমিয়ামে Combined Braking System ও আছে। বাংলাদেশে বাইকটির সম্ভাব্য দাম হতে পারে ১,৮৯,০০০ টাকা (সিবিএস ভেরিয়েন্টের জন্য)।

৩। ইয়ামাহা এফজেড-এস এফআই ভি ২.০ (Yamaha FZ-S FI V 2.0)

ইয়ামাহা এফজেড-এস এফআই ভি ২.০ জনপ্রিয় এফজেড সিরিজের ভেরিয়েন্ট যেটা ২০১৬ সালে আপগ্রেড হয়েছে। ভি ২.০ এ কারবুরেটেড ভার্সন এর তুলনায় ফুয়েল ইনজেকশন এর সাথে লেজার পাওয়ার রয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত ইয়ামাহার সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বাইক এটি।

ইয়ামাহা বাইক, ইয়ামাহা এফ জেড এস,এফজেড এফআই (Yamaha FZ S,FZ FI)

ইয়ামাহা এফজেড-এস এফআই ভি ২.০ ফার্স্ট জেনারেশনের বাইকগুলোর স্টাইল অনুসরন করে বর্তমানের প্রিমিয়াম ১৫০সিসি বাইক এর ডিজাইন করা হয়েছে। শার্প, মজবুত দেখতে বাইকটির লুক ব্যাপকভাবে লিটার ক্লাস স্ট্রিটফাইটার এর মত।

বর্তমানের ইয়ামাহা এফজেড-এস এফআই ভি ২.০  দেখতে ভালো, বেশ সমসাময়িক এবং সুসংগতিপূর্ণ।

বাইকটির ২য় জেনারেশনের পুনরাবৃত্তিতে ইয়ামাহা এফজেড-এস এফআই ভি ২.০ এর রয়েছে স্কাল্পেল, অধিক শার্প হেডলাইট, নতুন ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল এবং পুনরায় ডিজাইন করা গ্রাফিক্স।

ফুয়েল ইঞ্জেক্টেড ১৪৯সিসি ইঞ্জিন ১২.৯বিএইচপি পাওয়ার এবং ১৩.৬ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারে। বাইকটির টপ স্পিড প্রায় ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।

৪। বাজাজ পালসার এএস ১৫০ (Bajaj Pulsar AS 150)

বাজাজ পালসার ১৫০ ডিটিএসআই এর বেড়ে চলা জনপ্রিয়তা দেখে বাজাজ অটো ১৫০সিসি ক্লাসের সম্পূর্ণ নতুন একটি সেগমেন্টের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় যার নাম Adventure Sport সেগমেন্ট অথবা AS।

বাজাজ পালসার এএস ১৫০-Bajaj Pulsar AS 150

এই নতুন মডেল  বাজাজ পালসার এএস ১৫০ এর মাধ্যমে পালসার ১৫০ এর সাফল্য পুনরাবৃত্তির চেষ্টা করা হয়েছে।

এএস ১৫০ তে নতুন কি ফিচার থাকছে?- একটি নতুন quarter fairing এবং ‘adventure’ ট্যাগ জাস্টিফাই করতে windscreen।

বাইকটির vertically stacked headlights ও দেখতে ভালো, সর্বোপরি বিল্ড কোয়াকিটি দেখতে বেশ চমৎকার।

অন্যান্য ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি underbelly exhaust, split seats, নতুন alloy wheels এবং front fairing এর মধ্যে একটি -digital, part-analog instrument cluster।

বাইকটির ইঞ্জিনটি একটি সমস্ত-নতুন ১৫০সিসি four-valve motor যা ৯.৫০০ আরপিএম এ ১৬.৭বিএইচপি এর বেশি পাওয়ার এবং ৭০০০ আরপিএম এ সর্বোচ্চ ১৩এনএম টর্ক সরবরাহ করতে পারে।

৫। টিভিএস এপাচি ১৬০ আরটিআর (TVS Apache 160 RTR)

টিভিএস এপাচি সিরিজের প্রথম মডেল টিভিএস এপাচি ১৬০ আরটিআর কে প্রথম পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় ২০০৭ সালে, এবং এরপরে বছর ঘুরে বিভিন্ন আপগ্রেড আনা হয় এবং ধীরে ধীরে নিরবে টিভিএস মটর কোম্পানির ১৫০-১৬০সিসি সেগমেন্টের ভলিউম পুশার হয়ে ওঠে।

টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৫০ সিসি (TVS Apache RTR 150) মোটরসাইকেল রিভিউ

এপাচি আরটিআর ১৬০ এর edgy styling এর পাশাপাশি একটি বিশাল সাইজের দর্শনীয় ফুয়েল ট্যাঙ্ক রয়েছে।

বাইকটিতে সিঙ্গিল সিলিন্ডার, ফোর-স্ট্রোক ১৫৯.৭সিসি ইঞ্জিন ৮৫০০ আরপিএম এ ১৫.২বিএইচপি পাওয়ার এবং ৪০০ আরপিএম এ সর্বোচ্চ ১৩.১ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারে।

বাইকটির ব্রেকিং পেটাল ডিস্ক দ্বারা হ্যান্ডেল করা হয়, যেটা এই সেগমেন্টেই প্রথম লঞ্চ হয়েছে।

৬। সুজুকি জিক্সার এসএফ (Suzuki Gixxer SF)

সুজুকির খুব চমৎকার প্রিমিয়াম এই বাইকটি সরাসরি তরুন শ্রেণিকে লক্ষ্য করেই তৈরি করা হয়েছে। Gixxer naked বাইকের উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই এসএফ ভার্সন এর কিছু বিশেষ স্টাইলিং জিক্সার সিরিজ থেকে নেয়া যেমন রিয়ার প্যানেল এবং মজবুত ফুয়েল ট্যাঙ্ক।

সুজুকি জিক্সার এসএফ-suzuki_gixxersf

সুজুকি তার naked Gixxer এর অনুরুপ ডাউনটিউব ফ্রেম ব্যবহার করেছে  এসএফ ভার্সন এর জন্য, এবং একইরকম ১৫৪.৯সিসি ইঞ্জিন রয়েছে এতে।

সর্বোচ্চ ১৪.৬বিএইচপি পাওয়ার এবং শীর্ষ ১৪এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারে, সিঙ্গিল সিলিন্ডার ইঞ্জিনটিতে প্রচলিত ফাইভ স্পিড ট্রান্সমিশন রয়েছে।

বাইকটিতে বিভিন্ন ধরনের ফিচার রয়েছে, এলইডি টেল ল্যাম্প, এরোডাইনামিক ফেইরিং, ক্লিয়ার লেন্স ইনডিকেটর, এবং সাথে আছে ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার।

৭। হিরো এক্সট্রিম (Hero Xtreme)

এই সেগমেন্টের জনপ্রিয় অপশন গুলিকে নিয়ে হিরো ২০১৬ সালে আবারো নিয়ে আসে ফেসলিফটেড ভার্সন Hero Xtreme Sports Bike কে।

হিরো এক্সট্রিম-Hero-xtreme-Sports

পূর্বের মডেলের চেয়ে স্পোরটিয়ার দেখতে বাইকটির ফিচারগুলিতে নতুন কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে যেমন ফ্রন্টে হেড ল্যাম্প, রিয়ারে রিডিজাইন করা টেল ল্যাম্প সাথে এলইডি লাইট গাইড, সেমি-ডিজিটাল ক্লাসটার, নতুন স্পোর্টই গ্রাফিক্স এবং সাইড স্ট্যান্ড ইনডিকেটর।

পূর্বের বাইকগুলির মত এক্সট্রিমে রয়েছে একইরকম ১৪৯সিসি সিঙ্গিল সিলিন্ডার ইঞ্জিন সাথে আছে ফাইভ-স্পিড ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স, ইঞ্জিনটি সর্বোচ্চ ১৫.৬০বিএইচপি পাওয়ার সাথে শীর্ষ ১৩.৫০এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারে এবং বাইকটির সর্বোচ্চ স্পিড ১০৭ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।

বাইকটি পাওয়ার সরবরাহ বন্ধ করতে ফ্রন্ট এবং রিয়ারে ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করে।

সুজুকি জিক্সার কিনুন | সুজুকি জিক্সারের দাম Carmudi Bangladesh

https://bn.carmudi.com.bd/motorcycles/suzuki/gixxer/

Translate this page

বাংলাদেশে সুজুকি জিক্সার কিনতে আজই ভিজিট করুন দেশের অন্যতম বৃহৎ অনলাইন গাড়ি কেনাবেচার মার্কেটে। প্রথম সারির ডিলার এবং বিশ্বস্ত বিক্রেতাদের কাছ থেকে পছন্দের মোটরসাইকেল কিনুন।

Join the discussion

53 thoughts on “সর্বাধিক জনপ্রিয় ১৫০সিসি সেগমেন্টের ৭টি মোটরসাইকেল

  1. Thanks for sharing excellent informations. Your web site is so cool. I am impressed by the details that you have on this website. It reveals how nicely you perceive this subject. Bookmarked this website page, will come back for more articles. You, my friend, ROCK! I found just the info I already searched everywhere and simply couldn’t come across. What a perfect web-site.

  2. Danke, dass Sie Ihr Wissen über Rolltore bei uns vermitteln.Sie sind in diesem Thema gut besucht.Ihre Erklärungen sind sehr gründlich und kristallklar offensichtlich, was besonders hervorragend ist.Sie machen schwierig Subjekte verständlich und erreichbar , die besonders nützlich für diejenigen von uns, die gerade dieses Feld beginnen.

  3. Danke, dass Sie Ihr Wissen über Rolltore bei uns vermitteln.Sie sind in diesem Thema gut besucht.Ihre Erklärungen sind äußerst gründlich und kristallklar, meiner Meinung nach.Sie machen schwierig Subjekte verständlich und erreichbar , die besonders nützlich für diejenigen von uns, die gerade dieses Feld beginnen. https://bergertech.s3.amazonaws.com/rolltore/index.html

  4. Dziękuję bardzo za wnikliwą analizę pracy kierowcy Ubera.Ci, którzy rozważają tę ścieżkę kariery docenią twoją dogłębną wiedzę o polu.Twoje wyjaśnienia dotyczące zarobków, godzin pracy i interakcji z klientami dają czytelnikom dobry obraz roli, jaką odgrywa kierowca Uber, co doceniam.Wpis jest ceniony bardziej przez własne doświadczenia.Twoja wiedza i doświadczenie będą bardzo przydatne dla niektórych ludzi, ponieważ podejmują decyzję o zostaniu kierowcą Uber.Jeszcze raz dziękuję za poinformowanie mnie.Na twoim blogu, czekam na więcej tych postów. https://poland-uber.ams3.digitaloceanspaces.com/zarabiaj-z-uberem-na-wlasnych-zasadach.html

  5. Praca jako dostawca przy Uber Eats to świetne doświadczenie! Warunki, jaką oferuje Uber Eats, pozwala mnie idealnie dopasować pory pracy do mojego grafiku. Dodatkowo, profity w Uber Eats są naprawdę zadowalające, zwłaszcza jeśli uwielbiasz być w ruchu i chcesz sobie dorobić. Polecam fuchę w Uber Eats każdemu, kto wyszukuje swobody i porządnego wynagrodzenia. https://uber-eats.it-mil-1.linodeobjects.com/index.html

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।